ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে শিক্ষার্থী-কর্মচারী হাতাহাতি, ভাঙচুর

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ::

সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফল বৈষম্যমূলক হয়েছে বলে দাবি করে একদল শিক্ষার্থী ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা করেছেন। সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে বকশিবাজারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ওই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।মারধরে শিক্ষার্থীদের কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এক নারী শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়। তাদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, শিক্ষার্থীরা ২০২৪ সালে রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমায়েত ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে শিক্ষা বোর্ডের সামনে যান। সেখানে তারা ভেতরে প্রবেশ করতে চাইল মূল ফটকে তালা দেন কর্মচারীরা। ফটকের সামনে প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে এবং দ্রুত বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আহ্বান জানান।

পরে কেউ কোনো সাড়া না দিলে শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথাবার্তা একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দাবি করেন, এইচএসসির প্রকাশিত ফলাফল বৈষম্যমূলক। তারা সবগুলো বিষয়ের ওপর সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল চান। এই দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে তাদের ওপর হামলা হয়েছে এবং তিন ছাত্রীসহ ছয় শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

তবে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, হঠাৎ করে কিছু শিক্ষার্থী বোর্ডের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। এমনকি তারা বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষেও ভাঙচুর চালান।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তারা আন্দোলনরত ওই শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সরানোর চেষ্টা করছেন।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা বোর্ডের ফটকে তালা লাগিয়ে ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছিল না। সেসময় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে ঢুকতে চাইলে তাদের তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে বলে শুনেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে।

শিক্ষার্থীরা কি বলতে চায়, তা শুনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবগত করা হবে জানিয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এখানে কেউ বঞ্চিত বা বৈষম্যের শিকার হওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পান ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।