স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ::
অনশনের পনের ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের কেউই যোগাযোগ করতে আসেনি। সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ (শর্তসাপেক্ষে উন্মুক্ত) করে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে অনশনে বসেছেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনের ফুটপাতে ছাউনি দিয়ে অনশনকারীদের কেউ শুয়ে আছেন, কেউ বসে আছেন। আন্দোলনকারীদের অনেকই বিভিন্ন চায়ের স্টলে ছায়ায় বসেছেন।
আন্দোলনকারী সৈকত জানান, সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় তারা অনশনে বসেছেন। গতকাল থেকেই তারা এখানে অবস্থান করেছেন। ভোরে ১০-১৫ জন অসুস্থ হয়েছ পড়েন। তাদের মধ্যে যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমন পাঁচজন বাড়ি চলে গেছেন।
সৈকত জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এখানে অবস্থান করবেন। অনশন ভাঙবেন না। তাদের কিছু হলে দায় সরকারকে নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গতকাল থেকেই এখানে অবস্থান করছি। কিন্তু কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এর আগে জানানো হয়েছিল, আমাদের বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে।’ ‘এ দেশের ইতিহাসে যত দাবি আদায় হয়েছে, সব সময় দেখা গেছে রাষ্ট্রের কোনও না কোনও ক্ষতি হয়েছে। আমরা সচেতন ও শিক্ষিত সমাজ রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে চাই না। তাই আমরা অহিংস আন্দোলন করছি। দাবি না মানলে আমরা সহিংস হতে বাধ্য হবো। এর দায়ভার প্রধান উপদেষ্টাকে নিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে আবেদন বয়সসীমা ৩৫ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দেওয়ার দাবিতে সোমবার সকাল ১১টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। পরে সন্ধ্যা ৭টায় কাফনের কাপড় পরে ২৫ জন অনশনে বসেন এবং রাতেও তারা শাহবাগে অবস্থান করেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি চলমান।