ডেস্ক নিউজ:
১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের একটি সেলাই কারখানায় নারী শ্রমিকরা তাদের অধিকার, ভোটাধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেন।কিন্তু আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। ১৯১০ সালে জার্মান নারী নেতা ক্লারা জেটকিন প্রথম এই দিনটিকে নারী দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেন। ১৯১১ সালে বেশ কিছু দেশে প্রথম বেসরকারিভাবে এই দিনটি পালন করা হয়। ৭৩ বছর পর ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এর পর থেকে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো সরকারিভাবে এই দিনটি পালন করছে। বাংলাদেশে নারী দিবসের শুরু হয় যেভাবে,বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসেবে ৮ মার্চ নারী দিবস পালন করে থাকে। এই দিনে নারীসমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং তাদের মান-মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
কেন ৮ মার্চ নারী দিবস, ক্লারা জেটকিন আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ধারণা উত্থাপন করার সময় কোনো নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করেননি।
তবে ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের সময় রুশ নারীরা ‘রুটি ও শান্তি’ দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেন। ওই ধর্মঘটের চতুর্থ দিনেই রুশ জার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। তখন রাশিয়ার অস্থায়ী সরকার নারীদের ভোটাধিকারের সুযোগ দেয়। সেদিনটি ছিল ৮ মার্চ। পরবর্তী সময়ে তা আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃত হয়।
দিবসটির প্রতীক; আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতীক হলো বেগুনি, সবুজ এবং সাদা রং। বেগুনি রং ন্যায়বিচার ও মর্যাদাকে, সবুজ রং আশা এবং সাদা রং শুদ্ধতাকে বোঝায়। ১৯০৮ সালে ব্রিটেনের উইমেনস সোশ্যাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইউনিয়ন এই রংগুলো ব্যবহার শুরু করেছিল।
নারী দিবস ও সমতার বিষয়; বিশ্বের নানা দেশে নারী দিবস পালিত হলেও অনেক জায়গায় এখনো নারী-পুরুষের সমতা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে। তবে তা এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীদের নানা ধরনের পারিবারিক,সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় নির্যাতন বা বঞ্চনা এখনো বিদ্যমান। যৌতুকসহ বাল্যবিয়ে, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ধর্মীয় কুসংস্কার ও পুরুষালি মনোভাব নারীদের অগ্রগতির পথে বড় বাধা।