মহাসড়ক ট্রাজেডি: প্রেমার মৃত্যুতে পরিবারটির আর কেউ বেঁচে রইলো না

মহানগর সংবাদদাতা:

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতির জাঙ্গালিয়া এলাকার ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চমেক (চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাসনীম ইসলাম প্রেমা (১৮) মারা গেছে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়।

মারা যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ধীমান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘গুরুতর আহত প্রেমার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। আমাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় শুক্রবার সকালে। আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) প্রেমার মৃত্যু হয়।’

প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া চুনতি বন রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামমুখী রিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সেখানে থাকা যাত্রীরা গুরুতর আহত হন।

ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের ১০ আরোহী নিহত হন, যাদের মধ্যে ছিলেন প্রেমার বাবা-মা ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম শামীম ও লুৎফুন নাহার সুমি। প্রেমার মৃত্যুতে পরিবারটির আর কেউ বেঁচে রইলো না।

এদিকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত আরেক শিশু আরাধ্য বিশ্বাসের বাবা দিলীপ বিশ্বাস, মা সাধনা মণ্ডলও মারা গেছেন একই দুর্ঘটনায়।