আমতলীতে সূর্যমুখি চাষে বাম্পার ফলন, খুশিতে মাতোয়ারা চাষীরা

আমতলীতে শস্য বিন্যাস ভিত্তিক ব্লক প্রদর্শনী প্রকল্পের আওতায় ভেষজ উদ্ভিদ একবর্ষী সূর্য্যমূখী ফুলের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ সূর্যমুখী চাষে চাষীরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে লাভবান হওয়ার অপার সম্ভাবনা দেখছেন।

রবিবার (৬ এপ্রিল) আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী,আমতলী সদর, চাওড়া, হলদিয়া,
আঠারোগাছিয়া ও আড়পাঙ্গাশিয়া ঘুরে দেখাগেছে, একটু সমতল ও উচু জমিতে সূর্যমুখীর ফুল বাহারী সমাহার। কৃষকরা ফুল কাটতে প্রস্তুতি নিয়েছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে এ বিষয় জানাগেছে, সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উৎসাহী করতে প্রায় ২৫’শত কৃষকদের মাঝে সূর্যমুখী হাইসান-৩৩/৩৬ কাবেরীসহ অন্যান্ন জাতের বীজ দেয়া হয়েছে। এসকল বীজ নিয়ে কৃষকরা আবাদ করেছেন।এতে ৫৫ টি ব্লক প্রদর্শনী করা হয়েছে।

আমতলী উপজেলায় এ বছর প্রায় সূর্যমূখীর চাষ করা হচ্ছে ৪’শ ৫০ হেক্টর জমিতে। ওই লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে কৃষকদের।
এতে কৃষকদের ভালো মানের বীজ ও সার সরবরাহ করেছেন উপজেলা কৃষি অফিস। উপজেলার হলদিয়া, চাওড়া, আঠারোগাছিয়া, আমতলী সদর ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ব্যপক সূর্যমুখীর চাষ করেছে কৃষকরা।

জলবায়ূ পরিবর্তন মোকাবেলায় খরা প্রবন ও লবনাক্ত এলাকায় টেকসই ফসল ব্যবস্থা উদ্ভাবনে আধুনিক জাতের তৈল বীজ উৎপাদনের উপর কৃষি, জলবায়ু ট্রাস্ট ও পরিবেশে মন্ত্রনালয় বৈপ্লবিক সফলতা পেতে কাজ করেছে।এতে সূর্যমুখী হাইসান-৩৩ চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা।

সূর্যমুখী ফুল দেখতে অনেকটা সূর্যের মত এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এর নামকরন করা হয়েছে সূর্যমুখীর । এ উদ্ভিদের আয়ূকাল ৯০ থেকে ১০০ দিন। অল্প দিনের মধ্যে ফলন আসে। সূর্যমুখীর ফুলে বীজ হয়। ওই বীজ থেকে পুষ্টিকর তৈল এবং ভুসি হাঁস মুরগী ও মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আমতলী সদর ইউনিয়নের সেকান্দারখালী গ্রামের নীলগঞ্জ ব্লকে সূর্যমুখির ব্লক প্রদর্শনীর চাষী রেখা বেগম বলেন, আমি ৫০ শতক জমিতে সরকারীভাবে কৃষি অফিসের সহাযোগীতায় যে কৃষি প্রণোদনা পেয়েছি তাতে আমি বাম্পার ফলন পেয়েছি।

আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাসেল আহম্মেদ বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ১ কেজি বীজ,১০ কেজি ডিএডি,১০ কেজি ম্যাপ সার ১২২০ জন কৃষকের মাঝে বিতরন করা হয়েছে।
এছারা রাজস্ব প্রকল্প তেল,কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৫ টি ব্লক প্রদর্শনীর স্থাপন করা হয়েছে। এতে প্রায় ৪’শত ৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।