ঝালকাঠি সংবাদদাতা:
অস্ত্রমামলায় ১৪ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ওরফে সৈয়দ মিলনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ২০২০ সালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ তাকে আটক পুলিশ অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
গত ১৮ মার্চ ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-০১) বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম স্বাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ১৪বছরের কারাদন্ড ও ১০হাজার টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি হাদিসুর রহমান পলাতক ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করছেন ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মাহেব হোসেন।
সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ওরফে সৈয়দ মিলন পূর্ব চাঁদকাঠি ইউসুফ আলী খান সড়কের সৈয়দ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত দেড়টায় ঝালকাঠি শহরের ডাক্তার পট্টি এলাকায় হাদিসুর রহমানের মালিকানাধীন সৈয়দ টাওয়ারের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রান্না ঘরের তাক থেকে একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ তাঁকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি ঝালকাঠি সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন অস্ত্র আইনে হাদিসুর রহমানকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ৮জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত এ রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌশলী পিপি মাহেব হোসেন। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মল্লিক নাসির উদ্দীন কবীর।
ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহেব হোসেন বলেন, আদালত সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিকে সাজাপ্রদান করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে। সে আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তা নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মল্লিক নাসির উদ্দীন কবীর বলেন, আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করা হয়েছে। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।