যশোর সংবাদদাতা:
যশোরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আফনান তাহসিন স্বপ্নীল নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার শহরের শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। সে বেনাপোল পোর্ট ৯ নম্বর ওয়ার্ড বড় আচঁড়া গ্রামের আজমত আলীর ছেলে।স্বপ্নীল যশোর এম এম কলেজের ইংরেজি সাহিত্য বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।এ ঘটনায় ভিক্টিমের পক্ষে ওই কলেজের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভিক্টিম এম এম কলেজের লেখাপাড়ার সুবাদে শহরের মহিলা হোস্টেলে থাকেন। স্বপ্নীলও শহরের ব্যাচেলর বাসায় থাকেন। কলেজ ক্যাম্পাসে স্বপ্নীল ও ভিক্টিমের সাথে বন্ধুদ্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত ৪ এপ্রিল রাত ১১ টার দিকে স্বপ্নীল ফোনে ভিক্টিমকে (প্রেমিকা) বলে তার আম্মা অসুস্থ। তাকে দেখভালের জন্য বাড়িতে কেউ নেই।ভিক্টিমকে আসতে বলেন স্বপ্নিল। তিনি মানবিক কারনে পরদিন সকালে ট্রেনেচেপে বেনাপোল স্বপ্নীলের বাড়িতে যান। যেয়ে দেখে তার (স্বপ্নীল) মা কিছুটা অসুস্থ। ওইদিন রাত ১১টার দিকে ভিক্টিমকে (প্রেমিকা) স্বপ্নীল ড্রয়িং রুম থেকে কৌশলে তার শোবার কক্ষে নিয়ে যায়। শোবার কক্ষে দু’দফা ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ভিক্টিম স্বপ্নীলের মাকে বিষয়টি বললে তিনি মানসম্মানের ভয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিক স্বপ্নীলের মা ভিক্টিমকে ঘরের বউ করে নেয়ার আশ্বাস দেন।
গত ১০ এপ্রিল দুপুরে দু:খ প্রকাশের কথা বলে স্বপ্নীল তাকে (ভিক্টিম) ফের শোবার কক্ষে নিয়ে বলে তার সাথে যা কিছু হয়েছে তা ভিডিও করে রাখা হয়েছে,কথা ফাঁস করলে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখায়। এই বলে ফের ধর্ষণ করে। ভিক্টিম বিষয়টি স্বপ্নীলের মাকে পুনর্বার বললে, স্বপ্নীলের মা’র কাছ থেকে সদুত্তর ও প্রতিকার পাননি।
গত ১৫ এপ্রিল ফের (ভিক্টিম) স্বপ্নীলের মেসে গিয়ে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে মেস ম্যানেজারসহ বেশ কয়েকজনের সামনে তাকে মেরে তাড়িয়ে দেয়। ভিক্টিম যশোর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার এস আই দেবাশীষ হালদার জানিয়েছেন,মামলা হওয়ার পর গত বুধবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সামনে থেকে স্বপ্নীলকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।