নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের নতুন পাড়ায় জমিজমার মামলা-মোকাদ্দমার জেরে আশি ঊর্ধ্ব বৃদ্ধ মোঃ জহির আহমদ (৮৬), স্ত্রী ও তার পরিবারের ওপর পতিত আওয়ামী সরকারের দোসর সাবের আহমদ ও কথিত যুবদল নেতা ইকরামের যোগসাজশে স্থানীয় সন্ত্রাসী দ্বারা হত্যার উদ্দেশে ধারাবাহিকভাবে নৃশংস হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই ভুক্তভোগী পরিবার।
২৮ এপ্রিল (সোমবার) বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযুক্ত সাবের আহমদ গং ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ও আরজি জানান প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, গত ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়বকুন্ড ইউনিয়ন এর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর সাবের আহমদ এর ইন্ধনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কথিত সন্ত্রাসী জিমু, শফিউল আলম, ফছিউল আলম, হদয়, ইতুন, ইমু ও যুবদল নেতা ইকরামের সহযোগিতায় আমাদের জায়গা-সম্পত্তির মামলার জেরে আমার বয়োজ্যেষ্ঠ বাবা জহির আহমদ, মা আনোয়ারা বেগম সহ পরিবারের সকল সদস্য ও বাড়িঘরের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়।
এসময়ব সন্ত্রসীদের অতর্কিত হামলায় মেজো বোন সালেহা বেগম, বড় ভাই আব্দুল মান্নান, আমার মা আনোয়ারা বেগম ও আমার পিতা জহির আহমেদ গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে সন্ত্রাসীরা রামদা, ছুরি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা এই ঘটনায় কোনো মামলা-মোকদ্দমা করলে সবাইকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার পর প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে আমার বোন সালেহা বেগম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দিয়ে সীতাকুন্ড থানাকে মামলার রুজু করার নিদের্শ দিলেও দুঃখের বিষয় যে, মামলা হওয়ার পরও আসামীরা পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরাঘুরি করলেও তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, ভিটে বাড়ি ও সম্পত্তি নিয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী অভিযুক্ত সাবের আহমেদের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন মামলা-মোকাদ্দমা চলছিল। তবে তারা ফ্যাসিস্ট রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় গত ১৭ বছর আমাদের উপর অনেক জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে ও প্রভাব বিস্তার করে মামলাগুলোর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে আসছে। তবে আমাদের জমির সকল কাগজপত্র ঠিক থাকায় এই নিয়ে সরকার পতনের পর গত ২০২৪ ইং সনের ১৮ ডিসেম্বর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একটি সালিশি বৈঠক হয়।
সেখানে যার যার জায়গা সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেও সাবের আহমেদের পরিবার ওই সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবদলের নেতা ইকরামের প্রভাব খাটিয়ে ও আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কথিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে ধারাবাহিক ও পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন, জহির আহমদ, আনোয়ারা বেগম, আব্দুল মান্নান, সালেহা বেগম, জাহানারা বেগম প্রমুখ।