চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চাঞ্চল্যকর সুবীর হত্যা মামলার পলাতক আসামীদের মধ্য থেকে পিতাপুত্র সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। তাদেরকে ৩ মে (শনিবার) ভোর ৬ টায় ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা ও ভরাডোবা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গেফতারকৃত আসামীরা সাতাকানিয়া ফকিরহাট এলাকার দীপ্ত দাশ (২৪), সুমিত দাশ (১৯) ও দীপক দাশ (৫২) তারা তিনজনই পিতাপুত্র সম্পর্ক হয়।
চট্টগ্রাম র্যাব-৭ জানায়, পলাতক আসামী দীপ্ত দাশ ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা এলাকায় অবস্থান করছে জেনে, ৩ মে (শনিবার) ভোর ৬ টায় চট্টগ্রাম র্যাব- ৭ ও ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর যৌথ অভিযানে আসামী দীপ্ত দাশকে (২৪) আগে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তার দেয়া তথ্য মতে, পিতা দীপক দাশ (৫২) ও ছোট ভাই সুমিত দাশকে (১৯) ওই ভালুকার ভরাডোবা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের উল্লেখিত নাম ঠিকানা সহ হত্যা মামলার ৩,৪ ও ৬ নং এজাহারনামীয় পলাতক আসামী বলে জবানবন্দি দেয়।
আরো জানায়, নিহত সুবীর চক্রবর্তী চট্টগ্রামর সাতকানিয়া ফকিরখীল এলাকার বাসিন্দা। প্রতিবেশী রুপক দাশ এর সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে চলতি বছরের ২১ মার্চ রাত সাড়ে ৮ টার দিকে স্থানীয় শীলঘাটা থেকে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ীর উদ্দেশে আসার পথে ফকিরখীল এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁতপেতে থাকা প্রতিবেশী আসামী দীপ্ত,সুমিত ও তাদের পিতা দীপক সহ অন্যান্য সহযোগীরা ভিক্টিম সুবীরের পথরোধ করে, পরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপ ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে দ্রুত ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরের দিন ২২ মার্চ, এ ঘটনায় নিহত ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানায় ৯ জনকে তালিকাভুক্ত আসামী করে ও অজ্ঞাত ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। যার মামলা নং ১৪ তারিখ ২২ মার্চ ২০২৫ ইং।
এদিকে গ্রেফতারকৃত আসামীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।