চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীদের সাথে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত 

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সূচনা হিসেবে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুপ্তা বুশরা মিশমার সভাপতিত্বে সভায় সঞ্চালনা করেন এনসিপি এর প্রতিনিধি মনসুর আজম ও মাহাবুব আলম।
শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় নগরীর আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সেমিনার হলে এ গোল টেবিল বৈঠক ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টেকে একটি পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসেবে রূপায়িত করা উচিত, তাছাড়া এই বিমানবন্দরে বেশিবেশি কার্গো বিমান পরিচালনা করাও দরকার। শিপিং লাইনসেন্স পেতে ভোগান্তি ও জটিলতা সমাধানে কাজ করতে হবে। কাস্টমস ক্লিয়ারিং এর নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, ঋণখেলাপী ব্যবসায়ীদের সাথে এনসিপি দূরত্ব রাখতে হবে এবং দূর্নীতিবাজদের বিচার করা। গত ১৬ বছরে আইসিটি খাতে প্রায় বরাদ্দকৃত ১৬ হাজার কোটি টাকা নয়ছয় করে সরকার নিজেই গায়েব করে ফেলেছে জনগণের অর্থ। উদাহরণসরূপ শুধু দূর্নীতি  বন্ধ করেই আফগানিস্তান সরকার আজ তাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, বর্তমানে তাদের মুদ্রার মান বাংলাদেশের চেয়ে বেশি, আফগানি ৭০ রুপিতে ১ ডলার বিনিময় হচ্ছে।
এ সময় এনসিপি যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী বলেন, ব্যবসায়ীরা এদেশের চালিকাশক্তি ও  ভবিষ্যৎ বলে মনে করি, তারাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একমাত্র সোপান । আর ব্যবসায়ীদের গতিশীল অর্থনৈতিক পরামর্শ নিয়ে এনসিপি এগিয়ে যেতে চায়।
এনসিপি যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুপ্তা বুশরা মিশমা বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ীদেরকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন। আমরা মনে করি, ব্যবসায়ীদের সমস্যা গুলো নিয়ে কাজ করাটা এই মূহুর্তে  আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও দলীয় এজেন্ডার মধ্যে পড়ে।
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ইমন ছৈয়দ বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার একটি প্রচ্ছন্ন স্বর আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পাওয়া যায়। দেশীয় ক্ষুদ্র মাজারি শিল্পের প্রতি মনোযোগ দিয়ে সেসব সেক্টরকে বিকশিত করার জন্য চীনের মতো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে এনসিপি। শিল্প-কারখানার কাঁচামাল ব্যবসার সাথে জড়িত দেশি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বিদেশীদের বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিলো পতিত  সরকারের প্রতিনিধিরা। দেশীয় সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করে এমন সংগঠনের পাশে থাকলে, দেশে সুন্দরভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করার পরিবেশ সৃষ্টি হবে, বাড়বে কর্মসংস্থান, কমবে বেকারত্ব, এই বিষয় গুলো বিবেচনাপূর্বক  সেসব সংগঠনের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে থেকে অংশগ্রহণ করেন বিএসআরএম, কেএসআরএম, এস এ গ্রুপ, ও বিএসএম সহ প্রায় ২০ টি শিল্প গ্রুপের প্রতিনিধিরা।
এই সময় এনসিপি পক্ষ থেকে  উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, সদস্য রুহুল আমিনসহ  অন্যান্যরা।