মির্জা আবুল বশর ছিলেন,জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের মুক্তির প্রতিক ঃ জোনায়েদ সাকি

ডেস্ক নিউজ ঃ 
প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মির্জা আবুল বশর ছিলেন, জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের মুক্তির প্রতিক ও অবিসংবাদিত নেতা,একাধারে চট্টগ্রামের গণসংহতি আন্দোলনের শ্রমিক নেতা। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত মির্জা আবুল বশরের শোক ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী তাকে নিয়ে এমন স্মৃতিচারণ ও অনুভুতি প্রকাশ করেন।
২৭ জুন (শুক্রবার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জুলাই স্মৃতি হলে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন, গণমুক্তি ইউনিয়নের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি কমরেড রাজা মিয়া, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ছিদ্দিকুল রহমান, ভাসানি অনুযায়ী পরিষদের সদস্য সচিব সেলিম নুর, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর আহ্ববায়ক অপূর্ব নাথ, শহিদ শিমুল, নাসির উদ্দিন তালকুদার জসিম, মোর্শেদুল আলম, জাহিদুল আলম আল-জাহিদ, চিরন্তন চিরু, হাসান মুরাদ শাহ।
হোটেলে এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন-১৪৯৫ এর সদস্য সচিব মোঃ ইসহাক, শেকায়েত উল্লাহ, নেছার, মানু মিয়া, আকাশ, ছাত্র ফেডারেশনের শ্রীধাম কুমার শীল, আজাদ হোসেন, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবি সমিতির সাধন দত্ত, যুব ফেডারেশেনের মারুফ হোসেন, মহিউদ্দিন, আবদুস সাত্তার। নারী সংহতির শিখা দে, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির মোঃ কামাল, জয়নব বিবি, কুতুব উদ্দিন, কৃষক সংহতির শেখ মোঃ ফরিদ, পরিবারের পক্ষ থেকে তার স্ত্রী এবং ভাতিজী স্মৃতিচারণ করেন। আবুল বশর স্মৃতি পরিষদের ব্যানারে উক্ত সভা পরিচালনা করেন নুরুন্নেছা মুন্নী ও শাহাদাত হোসেন মানিক।
উক্ত সভায় জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের জন্য লড়াই করছি। যেখানে প্রত্যেক মানুষ তাঁর অধিকার ও আত্মমর্যা্দা নিয়ে বাঁচবে। তার জন্য আমরা সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার কথা বলছি। এখানকার মানুষ সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব আশা করে । যে সকল নেতা রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে লুটপাট বা ধনদৌলতের জন্য হা-হা-কার করবেনা। আমাদের সামনে তাঁর যোগ্য উত্তরসুরী মির্জা আবুল বশর। আমাদের মুক্তিকামী গণতন্ত্রের কতিপয়ের রাজত্ব কায়েম হবেনা। অধিকাংশ মানুষের উন্নতি নিশ্চিত করার জন্য সামাজিক অর্থনৈতিক বৈষম্য ও শোষন অতিক্রম করে নতুন সামাজিক গণতান্ত্রিক বিনির্মাণে যে সৈনিক দরকার, যে মানুষ দরকার আত্ম প্রাণ নিয়োজত সে মানুষ ছিলেন আমাদের বশর ভাই।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান মারুফ রুমী বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠাই রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক সকল প্রথা, প্রতিষ্ঠান, আইন ইত্যাদির কাজ। জনগণের কাছে সে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখার চেষ্টা করাই এখন রাজনৈতিক পক্ষগুলোর অগ্রাধিকার। সংঘাত নয় বরং এই ঐক্যের পথেই বাংলাদেশ তার নতুন রাজনৈতিক গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে। আমরা সকল দল ও বাংলাদেশের সকল নাগরিককে পারস্পরিক দোষারোপের সংস্কৃতি পরিহার করে, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পার্থক্য কমিয়ে আনার এবং পরস্পরের অবস্থানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, বিচার, সংস্কার, নির্বাচন বিষয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় আহ্বান জানাই।