বিতর্কিত ব্যক্তিকে জাতিসংঘের দূত নিয়োগ দেওয়ায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিস। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান। এ ছাড়া ঢাকায় জাতিসংঘের তথাকথিত মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়ার তীব্র নিন্দা, গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের দুই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও মুসলিমপ্রধান দেশ। এ দেশের সংবিধান, সমাজ, সংস্কৃতি ও আইন ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক শালীনতার ভিত্তিতে গঠিত। ইসলাম ও মুসলিম জনমানস সমকামিতাকে একটি জঘন্য অপরাধ ও অগ্রহণযোগ্য বিকৃতি হিসেবে গণ্য করে।
জাতিসংঘের মতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা কীভাবে এই বাস্তবতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মতো ধর্মপ্রাণ দেশের জন্য এমন একজন ব্যক্তিকে মনোনীত করতে পারে- তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
তারা বলেন, ‘বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় যখন দেখা যায়- প্রথমে ঢাকায় একটি ‘মানবাধিকার কার্যালয়’ স্থাপনের জন্য অনুমোদন নেওয়া হয়, এরপর দূত হিসেবে এমন একজন আত্মঘোষিত সমকামীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এ ধরনের ধারাবাহিকতা আমাদের মনে ঘনীভূত ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা জাগায়, যা দেশের ঈমানি চেতনা ও সাংস্কৃতিক সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত বলে মনে করছি।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয় যে, জাতিসংঘ অবিলম্বে এই বিতর্কিত নিয়োগ বাতিল করে বাংলাদেশের বাস্তবতা অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য কাউকে আবাসিক সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ দিক। বাংলাদেশ সরকার এই অ্যাগ্রিমো অনতিবিলম্বে প্রত্যাখ্যান করুক।
অন্যথায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। জাতিসংঘের ঢাকাস্থ তথাকথিত মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন পুনর্বিবেচনা করে বাতিল ঘোষণা করারও দাবি জানান তারা।