দেশে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যেন আবার ফিরে না আসে: জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যেন ফিরে না আসে সে জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার আবার যাতে ফেরত না আসে সেটা নিশ্চিত করতে সেই ধরনের এক গুচ্ছ প্রস্তাব আমরা উপস্থাপন করেছি। আমরা এটাকে বলেছি খসড়া জাতীয় ঐকমত্য সনদ। আমরা মনে করি, যে পরিবর্তন ও সংস্কারগুলো হওয়া দরকার আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায়, সংবিধানে, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, শাসন ব্যবস্থায়। সেই সংস্কারগুলো আমরা এখানে উপস্থাপন করেছি। যেটা সরকারকে এই বার্তা দিবে যে জনগণের এই মতামত ও সুপারিশগুলো যেন বাস্তবায়িত হয়। যার মাধ্যমে স্বৈরাচারের ফিরে আসা যেন চিরতরে অবসান ঘটে।’

শনিবার বিকেলে দিনাজপুর সদর উপজেলার বাঁশের হাট ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে এক নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন।

সচেতন, সংগতি ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষা-কবজ জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা শীর্ষ নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সনাক।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের উপরে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা আবারো যেন ঝেঁকে না বসে, স্বৈরাচার সরকার যেন আবার ফিরে না আসে, সেই জন্য সরকার ১১টি সংস্কার কমিটি গঠন করেছেন। এর মধ্যে ৬টি সংস্কার কমিটির প্রধানদের নিয়ে ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছে।

সংস্কার কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস। আমরা যে কাজটি করার চেষ্টা করছি, এখন আমরা ঐকমত্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছি। কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের ব্যাপারে আমরা ঐকমত্য হয়েছি। যাতে স্বৈরাচার ব্যবস্থা আবার যেন না ফিরে আসে। আমরা এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি।

সুশাসনের জন্য নাগরিক- সনাক দিনাজপুর জেলার সভাপতি মো. বেলাল উদ্দীন শিকদার রুবেলের সভাপতিত্বে সংলাপে কেন্দ্রীয়, রংপুর বিভাগ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। সংলাপে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার শতাধিক সাংবাদিক, সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।