সে ভুয়া এনজিও সংস্থা, সংবাদ প্রকাশের পর “রাতারাতি সাইনবোর্ড নাম পরিবর্তন”

কিশোরগঞ্জে গর্ভবতী মহিলাদের ভাতা, চাকুরী বাণিজ্য, সহ মামলা হামলা আসামীর নাম কাটানো ও ঢুকানোর নামে প্রতারণা বাণিজ্যে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নেয়া এনজিও সংস্থার সাইনবোর্ড হঠাৎ বদলে যাওয়ায় জনমনে আবার নতুন করে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।

জানাগেছে, সম্প্রতি বেশ ক’ টি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনে ” জাতীয় নিরপওা গোয়েন্দা এনএসআই এর অনুমোদন প্রাপ্ত বেসরকারী সংস্থা বন্ধু সমাজ কল্যাণ সংস্থা ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্নবানে রাতের আধারে সাইনবোর্ড বদলে যায় বলে এলাকাবাসী র ধারণা।

মোঃ আবু সাঈদ মাহমুদ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মামুন অর রশীদ এর অধীনে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত । উক্ত দপ্তরের প্রধান ( জেলা কর্মকর্তা ও উপপরিচালক) হিসেবে দীর্ঘ দুইযুগের ও বেশী সময় ধরে কর্মরত আছেন।

তার স্ত্রী শামসুননাহার তাসমিন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘসময় যাবত কর্মকাল অতিবাহিত করে আসছেন। ১৪ বছর যাবত কিশোরগন্জ জেলায় এক নাগাড়ে জেলা কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা র এর ব্যাক্তিগত সম্পর্ক ও নেক নজরের বদৌলতে অফিস সহায়ক আবু সাঈদ মাহমুদ বিভিন্নধরনের কর্মকাণ্ডই করে যাচ্ছেন না কে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বার হবেন তা ও নির্ধারন করার ধৃষ্টতা দেখাতেন।

নিজ এলাকায় অবস্হান করে চাকুরী করার কারণে মহিলা বিষয়ক জেলা কার্যালয় টি যেন তাদের ব্যাক্তিগত সম্পওিতে পরিণত করে নিয়েছে। সেবা গ্রহীতা সুফিয়া, সালমা, আনু, তসলিমা, শিরিণ কে অপর এক মহিলা কর্মচারী সহায়তায় অশোভন আচরণ করলে উপপরিচালক মামুন অর রশীদ উল্টো পথ দেখিয়ে বিদায় দেন।

২০২৩ সনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কিশোরগন্জ জেলা কার্যালয় থেকে ১৯৬১ সনের স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ সংস্হা নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ আইনে নিবন্ধিত সংস্থা একই সংগে জাতীয় গোয়েন্দা NSI এর অনুমোদন প্রাপ্ত হলো কিভাবে জানতে চাইলে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এর অবর্তমানে সহকারী পরিচালক ( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এ প্রতিনিধি কে জানান ২০১৯ সন হতে সরকার নিবন্ধন আবেদনের জন্য জাতীয় নিরপওা গোয়েন্দা (এনএসআই) এর রিপোর্ট বাধ্যতা মূলক করেছেনএক্ষেএে এনএসআই এর নাম সাইনবোর্ডে লেখা সম্পূর্ণ প্রতারণা।

বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এনএসআই এর কোথাও কোন কার্যালয়ে সাইনবোর্ড ব্যবহার না করলেও জনগণের সংগে প্রতারণা করার জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের একজন অফিস সহায়ক পদে চাকুরীতে থেকে এনজিও সংস্হা পরিচালনা করা কতটুকু যৌক্তিক ! তা কেবল জনমনে প্রশ্ন ই নয় সরেজমিনে তদন্তের প্রত্যাশা সৃষ্টি করেছে।