বগুড়া জেলার নন্দিগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম গ্রামের গর্ব, মাহবুবা খাতুন নিশা—একজন নিবন্ধিত ও প্রশিক্ষিত কমিউনিটি প্যারামেডিক, যিনি নিজ গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ছুটে চলেছেন অসহায়, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের পাশে।
২০১৯ সালে তিনি টিএমএসএস কমিউনিটি প্যারামেডিক ইনস্টিটিউট, বগুড়া (TCPI) থেকে সফলভাবে কমিউনিটি প্যারামেডিক কোর্স সম্পন্ন করেন এবং সেখান থেকেই তার পেশাগত জীবনের পথচলা শুরু। পাস করার পর থেকে তিনি তার নিজ গ্রামে স্থাপিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকেই স্বাস্থ্যসেবার আলো পৌঁছে দিচ্ছেন গ্রামের ঘরে ঘরে।
শুরু থেকেই মাহবুবা খাতুন নিশা নিজেকে উৎসর্গ করেছেন গ্রামীণ মানুষের সেবায়। তিনি প্রমাণ করেছেন—সাহস, দক্ষতা ও মানবিকতাকে সম্বল করে একজন নারীও সমাজ পরিবর্তনের অগ্রণী শক্তি হতে পারেন।
বাংলাদেশ কমিউনিটি প্যারামেডিক এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব আবু হানিফ বলেন— “মাহবুবা খাতুন নিশার মতো নিবেদিতপ্রাণ কমিউনিটি প্যারামেডিকগণ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তারা শুধু চিকিৎসাসেবার সহকারী নন, বরং সমাজের জন্য এক একজন আশার আলো।
কমিউনিটি প্যারামেডিকদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও মানবিক সেবার মান আজ প্রমাণ করেছে—স্বাস্থ্যসেবার প্রথম ধাপ সফলভাবে তাদের হাত ধরেই বাস্তবায়িত হচ্ছে।
আমরা চাই, দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে যেন অন্তত একজন দক্ষ কমিউনিটি প্যারামেডিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। মাহবুবা খাতুন নিশার মতো পেশাদাররা আমাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের উচিত কমিউনিটি প্যারামেডিকদের যথাযথ স্বীকৃতি ও টেকসই কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা।”
মাহবুবা খাতুন নিশার মতো সাহসী ও মানবিক মুখগুলোই হচ্ছে আগামী বাংলাদেশের সুস্থ সমাজ গঠনের ভিত। তার কাজ, অবদান ও মানবিক উদ্যোগ আমাদের জন্য এক গর্বের বিষয়।