পশ্চিমাদের প্ররোচনায় থাই-কম্বোডিয়া যুদ্ধঃ চীন

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত সংঘাত দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া নতুন পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষ ব্যবহার করছে ভারী অস্ত্র। যার ফলে ওই অঞ্চলে এখন সর্বাত্মক যুদ্ধের দামামা বাজছে। বিষয়টি চীনকে উদ্বিগ্ন করেছে। চীন সংঘাত সমাধানের আগ্রহ জানিয়ে বলেছে, পশ্চিমারা এ সংঘাতের জন্য দায়ী।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, বিরোধের ‘মূল কারণ’ পশ্চিমা উপনিবেশবাদের ফল। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে পরিস্থিতির উত্তেজনা কমাতে বেইজিং গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত। খবর আলজাজিরার।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক বিবৃতি অনুসারে, বেইজিংয়ে আসিয়ান মহাসচিব কাও কিম হোর্নের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, এ সমস্যার মূল কারণ- অতীতে পশ্চিমা উপনিবেশবাদীদের রেখে যাওয়া দীর্ঘস্থায়ী পরিণতির মধ্যে নিহিত। এখন এটি শান্তভাবে মোকাবিলা করা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।

হতাহতের ঘটনা গভীর বেদনাদায়ক এবং উদ্বেগজনক উল্লেখ করে ওয়াং বলেন, চীন সংকট সমাধানে সহায়তা করার জন্য একটি ন্যায্য এবং নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে চায়।

দুই প্রতিবেশীর বিরোধপূর্ণ আঞ্চলিক দাবি মূলত ১৯০৭ সালে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে আঁকা একটি মানচিত্র থেকে উদ্ভূত, যা কম্বোডিয়াকে থাইল্যান্ড থেকে আলাদা করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।

কম্বোডিয়া মানচিত্রটিকে বিরোধপূর্ণ অঞ্চল দাবি করার জন্য একটি প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করেছে। অপরদিকে থাইল্যান্ড মানচিত্রটি ভুল বলে যুক্তি দিচ্ছে।