দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশকে ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’ এর চিঠি

ভারতের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসবের সময় উপমহাদেশ জুড়েই বাড়ে নানা খাদ্যের চাহিদা, বিশেষ করে বাঙালিদের প্রিয় মাছ পদ্মার ইলিশের। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ইলিশের প্রতি থাকে তীব্র চাহিদা। তবে চলতি বছরে দুর্গাপূজার আগে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’। ২৯ জুলাই পাঠানো চিঠিতে সংগঠনটি এবারের পূজার আগে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি চেয়ে সময়সীমা শিথিল করারও অনুরোধ জানিয়েছে।

চিঠিতে গত বছরের ইলিশ রপ্তানির অনুমতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সংগঠনটি জানিয়েছে, আপনার সদয় হস্তক্ষেপে গত বছর ২৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার মৎস্যপ্রেমীদের জন্য এক বিশেষ আকর্ষণ।

চিঠিতে আরও বলা হয়, দুর্গাপূজা ২০২৫ সামনে থাকায় এ বছরও আগেভাগেই ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ বছরের দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে সেপ্টেম্বর মাসে।

তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা তুলে ধরে চিঠিতে আফসোসের সুরে বলা হয়েছে, গত বছর অনুমোদিত ২৪২০ টনের মধ্যে মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। তারও আগে ২০২৩ সালে ৩,৯৫০ টনের অনুমোদনের বিপরীতে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৫৮৭ টন, ২০২২ সালে ২,৯০০ টনের অনুমোদনের বিপরীতে ১,৩০০ টন এবং ২০২১ সালে ৪,৬০০ টনের অনুমোদনের বিপরীতে রপ্তানি হয়েছিল ১,২০০ টন।

এই খাতে বড় বাধা হিসেবে ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করেছেন সময়সীমা। চিঠিতে জানানো হয়েছে, প্রতি বছর রপ্তানির অনুমতিপত্র নির্দিষ্ট সময়ের (৩০-৪৫ দিন) মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এতো অল্প সময়ের মধ্যে বড় পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি সম্ভব হয় না।

এই পরিস্থিতিতে এবার ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’ অনুরোধ জানিয়েছে, যেন অনুমোদিত ইলিশ রপ্তানির ক্ষেত্রে সময়সীমার বাধ্যবাধকতা না থাকে। চিঠির শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর সফলভাবে শেষ হওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারতের সঙ্গে আরও দৃঢ় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছে সংগঠনটি।