মিঠাপানির হ্রদ কাপ্তাইয়ে,ধরা পড়লো ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ

নিষেধাজ্ঞার পর প্রথম দিনে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের চার কেন্দ্রে প্রায় ১০৫ মেট্রিক টন মাছ ধরা পড়েছে। এতে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।

কাপ্তাই হ্রদের মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও অবমুক্ত করা মাছের পোনার স্বাভাবিক বৃদ্ধির গত ১ মে থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়েছিল। শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে জন্য আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কাটিয়ে কাপ্তাই হ্রদে ফের শুরু হয়েছে মৎস্য আহরণ।

রবিবার ভোর থেকে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে হ্রদের ফিশারি ঘাট। শুধু এই ফিশারি ঘাটই নয়, জেলার আরও তিনটি অবতরণ কেন্দ্রে একযোগে চলে কর্মযজ্ঞ। জেলে, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের হাঁকডাকে মুখর হয়ে ওঠে পন্টুন। দীর্ঘ ৯৪ দিন পর কর্মে ফিরে খুশি জেলে ও শ্রমিকরা। তবে প্রথম দিনে আহরণ করা মাছের আকার নিয়ে কিছুটা হতাশ ব্যবসায়ীরা।

বিএফডিসির তথ্যমতে, গেলো বছর জেলার চারটি অবতরণ কেন্দ্রে প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন মাছ সংগ্রহ করা হয়, যা থেকে রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ১৯ কোটি টাকা।

এ বছর প্রথম দিনে রাঙামাটি ঘাটে ৬৫, মারিশ্যা ঘাটে ২, কাপ্তাই ঘাটে ৩০ ও মহলছড়ি ঘাটে ৮ মেট্রিক টন মাছ সংগ্রহ হয়। যা থেকে রাজস্ব আদায় হয় ২০ লাখ টাকা। গত বছর প্রথম দিনে ৭৫ মেট্রিক টন মাছ সংগৃহীত হয়েছিল। যা থেকে রাজস্ব আদায় হয় ১৫ লাখ টাকা।

মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল বাতেন জানান, প্রথম দিন হিসেবে ঘাটে প্রচুর মাছ এসেছে। তবে অন্যান্য বছর চাপিলা, কাচকিসহ আরও অনেক প্রকার মাছ পাওয়া যেত। এ বছর শুধু চাপিলা মাছ বেশি পাওয়া গেছে, তাও আবার সাইজে ছোট। এগুলো দিয়ে ভালো ব্যবসা হবে না।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেন, ‘প্রথম দিনে মাছ অতরণ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে শিকারের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও কিছুদিন বাড়ানো গেলে মাছ আরও বড় হতো। তখন রাজস্ব আদায় আরও বেশি হতো। মাছের সাইজ নিয়ে আমরাও হতাশ। এভাবে সারাবছর মাছ অবতরণ হলে লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি রাজস্ব আদায়ের প্রত্যাশা করছি।’