বিএসআরএম ফ্যাক্টরিতে সন্ত্রাসী হামলায়, আটক ৫

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ  বিএসআরএম স্টিল কারখানায় সশস্ত্র হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও শ্রমিকদের হত্যাচেষ্টা মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত  আসামী মোঃ তাজুল ইসলামসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৭।

৪ আগস্ট (সোমবার)  র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ১ আগস্ট স্থানীয় সন্ত্রাসী হক সাবের নেতৃত্বে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, কিরিচ, চাপাতি, রামদা ও লোহার রড সজ্জিত ১৮ থেকে ২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বিএসআরএম স্টিল রোলিং-২ ও  স্টিল মেলটিং-২ কারখানায় হামলা চালায়।

এসময় হামলাকারীরা কারখানার অফিসকক্ষ ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। কর্তব্যরত অফিসার মোঃ শাহ আলম, নিরাপত্তা কর্মী মোরশেদ, ডাম্প ট্রাক চালক সোহাগসহ শ্রমিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিপুল পরিমাণ লোহা তৈরির স্ক্র্যাপ, নির্মাণাধীন বেষ্টনীর টিন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া বেষ্টনী নির্মাণ অব্যাহত রাখলে শ্রমিকদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।

ঘটনার পর বিএসআরএম কারখানার ব্যবস্থাপক  মোঃ দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে  ১৫ থেকে ২০ জনকে  অজ্ঞাত রেখে  মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০২, তাং ০৩ আগস্ট’ ২৫ ইং।

মামলাটির  তদন্তে চট্টগ্রাম  র‍্যাব-৭— গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৩ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম নগরের কাজির দেউরি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যতম আসামী মোঃ তাজুল ইসলাম (২৭) কে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে আরও দুটি অভিযানে ৫ জনকে আটক করতে সক্ষম হয় র‍্যাব।

অন্যান্য আটককৃতরা  হলেন— মোঃ ইমন (২৬), পিতা- বশির আহম্মদ, সাং-পরাগলপুর, মোঃ সাদেক হোসেন (৩০), পিতা- নিজাম উদ্দিন, সাং-উত্তর পরাগলপুর, মোঃ হাসান (২২), পিতা-আলা উদ্দিন সাং-পরাগলপুর, মোঃ মাহবুব (২৬), পিতা- মোঃ মনির হোসেন, সাং-সেংগুয়া, কচুয়া, চাঁদপুর।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার রাতে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও পরিচালক (মিডিয়া) এ.আর.এম. মোজাফ্ফর হোসেন জানান।

মামলার বাদি বিএসআরএম মিরসরাই জোনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ চক্রটি বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। আমরা মামলা করেছি। সকল আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, “আসামীদের সুনির্দিষ্ট মামলায় পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সোমবার সকালে আদালত পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা সংক্রান্ত আরো তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।