কৃতিত্ব নয়, জনগণের মালিকানা ফেরানোর জন্য বিপ্লব এনেছিঃ আমীর খসরু 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা কৃতিত্বের জন্য আন্দোলন করিনি। এই আন্দোলন ছিল দেশের মুক্তির জন্য, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য, জনগণের মালিকানা ফেরানোর জন্য।’
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পতন উৎসব’-এর সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী দিনে ‘সাংবাদিক-ছাত্র-জনতার সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
যারা ক্যামেরার বাইরের, তারাও আন্দোলনের অংশ উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘বিএনপির মধ্যম পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এমন নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যেটা সাধারণ মানুষ দেখেনি। কারণ এদের অনেকের দুর্দশা ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। যারা ক্যামেরায় এসেছেন, তাদের ছবি আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু লক্ষ লক্ষ নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠ, যন্ত্রণার চিত্র আমাদের অজানা রয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে যারা প্রাণ দিয়েছেন, যারা পঙ্গু বা অন্ধ হয়েছেন তাদের অনেকেই আলোচনায় আসেননি। অথচ তারাও এই আন্দোলনের নীরব যোদ্ধা। তাই এই আন্দোলনের কৃতিত্ব পুরো বাংলাদেশের জনগণের। বিএনপি কোনো দিন এই কৃতিত্ব নিজের নামে দাবি করেনি।’
কৃতিত্ব দাবি করলে দেশ বিভক্ত হবে জানিয়ে আমীর খসরু আরও বলেন, ‘বিএনপি কোনো সময় এই কৃতিত্ব দাবি করে নাই, আপনারা জানেন— শুরু থেকে এই পর্যন্ত। বিএনপির অবস্থান হচ্ছে এই আন্দোলন বাংলাদেশের আঠারো-বিশ কোটি মানুষের আন্দোলন। কারণ এই কৃতিত্ব বিএনপির নেওয়ার দরকার নাই। আমরা কৃতিত্বের জন্য আন্দোলন করি নাই। আমরা দেশের মুক্তির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করেছি। কারণ আমরা যদি কৃতিত্বের দাবি করি তাহলে দেশ বিভক্ত হবে। আমরা কিন্তু বাংলাদেশের বিভক্তি চাই না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের জন্য লড়েছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ফিরিয়ে আনা। আন্দোলনের সফলতা মানেই কৃতিত্ব নেওয়া নয়, সফলতা মানেই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা।’