রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, যদিও শেখ মুজিব বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অনিবার্য চরিত্র, কিন্তু তার সেই অবস্থান নিয়ে এখন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
গত বছরের পাঁচই অগাস্টে গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়। এমনকি ঢাকায় দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা বা মব সৃষ্টি করে তার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় মাটিতে।—বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন।
ঘটনাপ্রবাহকে দুইভাগে ভাগ করছেন নাগরিক অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি মনে করেন, স্বতস্ফূর্ত এবং রাজনৈতিক–– এই দুই ভাগে ঘটনাগুলো ঘটেছে।
এর ব্যাখ্যায় তার বক্তব্য হচ্ছে, শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনার দীর্ঘ কতৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী শাসনে ভোটের অধিকার না থাকায় এবং অত্যাচার-নির্যাতনে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল।
“শেখ হাসিনার প্রতি সেই আক্রোশ থেকে আক্রান্ত হন শেখ মুজিব। সে প্রেক্ষাপটে গণ-অভ্যুত্থানের পর পরই ভাঙচুরের ঘটনাগুলো স্বতস্ফূর্ত ছিল” বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
তিনি বলেন, “পরে রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠী ভাঙচুর অব্যাহত রেখেছিল। এটি স্বতস্ফূর্ত ছিল না। শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা থেকে ওই গোষ্ঠীগুলোর হাতে শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়।
“এসব করে শেখ মুজিবকে তো ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না।”
তবে পরিস্থিতির দায় আওয়ামী লীগের বলেই মনে করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তার মতের সঙ্গে একমত পোষণ করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও অনেকে।
তারা বলছেন, শেখ মুজিবের দুটি অংশ রয়েছে–– একটি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা হিসেবে; আরেকটি ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত তার শাসন, তখন বাকশাল নামে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট শেখ মুজিবকে স্বপরিবারের হত্যার পর তখনও তার ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছিল, সংকটে পড়েছিল আওয়ামী লীগ।
সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে দীর্ঘ সময় লেগেছিল। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেছিল দলটি।
শেখ মুজিবের শাসনকাল নিয়ে আগেও সমালোচনা ছিল, এখনো তা নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু এখন ইতিহাসে তার অবস্থান নিয়েই বিতর্ক করা হচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
তারা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠীগুলোও সুযোগটাকে কাজে লাগাচ্ছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলকে কোণঠাসা করে রেখেছিল। ফলে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সক্রিয় হওয়া দলগুলোর বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ বিরোধী অবস্থানে সক্রিয় রয়েছে।
‘হাসিনার প্রতি আক্রোশ থেকে আক্রান্ত মুজিব’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, যদিও শেখ মুজিব বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অনিবার্য চরিত্র, কিন্তু তার সেই অবস্থান নিয়ে এখন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
গত বছরের পাঁচই অগাস্টে গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়। এমনকি ঢাকায় দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা বা মব সৃষ্টি করে তার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় মাটিতে।—বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন।
ঘটনাপ্রবাহকে দুইভাগে ভাগ করছেন নাগরিক অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি মনে করেন, স্বতস্ফূর্ত এবং রাজনৈতিক–– এই দুই ভাগে ঘটনাগুলো ঘটেছে।
এর ব্যাখ্যায় তার বক্তব্য হচ্ছে, শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনার দীর্ঘ কতৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী শাসনে ভোটের অধিকার না থাকায় এবং অত্যাচার-নির্যাতনে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল।
“শেখ হাসিনার প্রতি সেই আক্রোশ থেকে আক্রান্ত হন শেখ মুজিব। সে প্রেক্ষাপটে গণ-অভ্যুত্থানের পর পরই ভাঙচুরের ঘটনাগুলো স্বতস্ফূর্ত ছিল” বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
তিনি বলেন, “পরে রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠী ভাঙচুর অব্যাহত রেখেছিল। এটি স্বতস্ফূর্ত ছিল না। শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা থেকে ওই গোষ্ঠীগুলোর হাতে শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়।
“এসব করে শেখ মুজিবকে তো ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না।”
তবে পরিস্থিতির দায় আওয়ামী লীগের বলেই মনে করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তার মতের সঙ্গে একমত পোষণ করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও অনেকে।
তারা বলছেন, শেখ মুজিবের দুটি অংশ রয়েছে–– একটি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা হিসেবে; আরেকটি ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত তার শাসন, তখন বাকশাল নামে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট শেখ মুজিবকে স্বপরিবারের হত্যার পর তখনও তার ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছিল, সংকটে পড়েছিল আওয়ামী লীগ।
সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে দীর্ঘ সময় লেগেছিল। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেছিল দলটি।
শেখ মুজিবের শাসনকাল নিয়ে আগেও সমালোচনা ছিল, এখনো তা নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু এখন ইতিহাসে তার অবস্থান নিয়েই বিতর্ক করা হচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
তারা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠীগুলোও সুযোগটাকে কাজে লাগাচ্ছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলকে কোণঠাসা করে রেখেছিল। ফলে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সক্রিয় হওয়া দলগুলোর বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ বিরোধী অবস্থানে সক্রিয় রয়েছে।
৬ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে, বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানী বন্ধ ঘোষণা
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনে সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন
আফগানিস্তানে জরুরী ত্রান সহায়তা পাঠালো বাংলাদেশ
গাজার আকাশে লাশ ও ধ্বংসাবশেষের কান্নার প্রতিধ্বনি
ভারতে কারাভোগের পর, ট্রাভেল পারমিটে দেশে ফিরলেন ৩ বাংলাদেশী
ক্রিকেট এশিয়াকাপের সব দল ঘোষনা