দেশে সামাজিক বিভেদ সৃষ্টিতে ‘সংখ্যালঘু’ এর মত শব্দ ব্যবহার করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, “সংখ্যালঘু শব্দটি আমরা বিশ্বাস করি না। যে দেশের সংবিধান সবাইকে সমান নাগরিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়েছে, তাহলে সেখানে সংখ্যালঘু শব্দটা কেন আমাদের ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই একটা গলদ আছে।— খবর বিডিনিউজ এর।
“এই বিষয়গুলো আমাদের সমাজ ব্যবস্থায়, রাষ্ট্র ব্যবস্থায়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সামনে যাতে এ শব্দগুলো ব্যবহার করতে না হয় ভবিষ্যতে।”
চট্টগ্রামের জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে শনিবার সন্ধ্যায় জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
খসরু বলেন, “ধর্ম ও ভাষা যার যার। এই শব্দগুলোকে সামনে এনে বড় ধরনের সামাজিক বিভেদ সৃষ্টি করা হয়। এই বিভেদের কারণে যারা স্বার্থ হাসিল করে ক্ষমতা হস্তগত করে, তারা মনে করে এটা বোধহয় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। আসলে এই ব্যবস্থার একটা পতন আছে। এই পতন যুগে যুগে হয়েছে।
“সংস্কৃতি নিয়েও সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। মানুষ হিসেবে আমাদের ধর্ম, বর্ণ, ইতিহাস ও সংস্কৃতি আছে। ধর্ম হল আমার নিজের ব্যক্তিগত বিষয়। সামষ্টিকভাবে আমরা কিন্তু একটা জাতি, আমরা একটা দেশ, আমরা একটা সমাজ। এখানে বিভক্তি যারা তৈরি করেছে, তারা কিন্তু চিরস্থায়ী হয় না। তাদের বারবার বিদায় নিতে হয়েছে। আবার বারবার তাদের আবির্ভাবও হয়।”
তিনি বলেন, “আজ যারা নতুন বাংলাদেশের কথা বলছেন, তাদেরও আচার-আচরণে ও কথা-বার্তায় সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে হবে। জাতি হিসেবে সহনশীল হতে হবে। বিভক্তির কোন সুযোগ রাখা যাবে না।
“রাজনীতিবিদ হিসেবে সহনশীল হতে হবে। রাজনীতিবিদ হিসেবে আরেকজনের মতামতকে দ্বিমত পোষণ করেও সম্মান দেখাতে হবে।”
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ও শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে চার দিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি। চট্টগ্রামে শনিবারের আয়োজনে প্রধান অতিথি হয়েছিলেন আমীর খসরু।