কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার যমুনা ব্যাপারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে লেখাপড়া করছে। পুরাতন এই ভবনের পলেস্তার খসে পড়ছে প্রতিনিয়ত, যার কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সবসময় আতঙ্কে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রেণিকক্ষের ছাদ হিসেবে টিন ব্যবহার করা হচ্ছে, দেয়ালে স্যাঁতস্যাঁতে দাগ,মেঝেতে ফাটল এবং বিভিন্ন স্থানে পানি জমে আছে। বর্ষাকালে টিনের ফাট দিয়ে পানি পড়ে পাঠদানে বিঘ্ন ঘটে এবং গরমকালে অসহনীয় গরমে শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ পোহায়। ভাঙ্গা বেঞ্চে বসে ভেজা বই-খাতায় তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ২২০ জন নিয়মিত উপস্থিত থাকে। বিদ্যালয়ে ৬ জন নারী শিক্ষক ও একজন পুরুষ শিক্ষক পাঠদান করছেন।
অভিভাবক আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে একটি স্থায়ী ভবন না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শিশুদের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। স্থানীয়রাও অভিযোগ করেন যে, উপজেলার অন্যান্য স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণ হলেও এই বিদ্যালয়ের দিকে কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বিদ্যালয়টিকে অঞ্চলের শিক্ষার মূল ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ভবন না থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি সরকারের কাছে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের জোর দাবি জানান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মঞ্জুয়ারা বেগম জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষায় সফল হলেও ভবন সমস্যার কারণে তাদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নার্গিস ফাতিমা তোকদার জানান, ১৪৫টি বিদ্যালয়ের ভবনের নামের তালিকায় যমুনা ব্যাপারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পাঠানো হয়েছে এবং খুব শিগগিরই নতুন ভবন পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদী।