ডেস্ক নিউজ:
ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানাতে তফশিলি ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ দেয়া হয়। ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ (২০২৩ পর্যন্ত সংশোধনী) এর ২৭খ ও ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এ নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে প্রতি তিন মাস পর পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম, ব্যাংকের ঋণ প্রদানকারী শাখা, প্রতিষ্ঠানের ধরন (বৃহৎ শিল্প, মাঝারি শিল্প ও অন্যান্য), ঋণের প্রকৃতি (চলমান, তলবি নাকি মেয়াদি), ঋণখেলাপি ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মতারিখসহ যাবতীয় তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ছকে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। আজ বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ১২ মার্চ এই ধরনের আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। তখন ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এসব তথ্য দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে আরও অধিকতর সংশোধন করা হয়েছে।
নতুন সার্কুলার অনুসারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য প্রদানে (রিপোর্টিং) তিন ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রথমত, ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের পর তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে পাঠাতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের সিআইবি ‘উইলফুল ডিফল্টার’ হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার ক্রম পুঞ্জীভূত তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিবরণী আকারে পাঠাতে হবে। এ ছাড়া তিন মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে দাখিল করতে হবে। পাশাপাশি তাদের যাবতীয় দলিলপত্রও দিতে হবে। তৃতীয়ত, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের বিষয়ে ব্যাংকের শনাক্তকরণ ইউনিটের সদস্যদের নাম, মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস—এসব তথ্য দিতে হবে।
তিন মাস পরপর ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণসংক্রান্ত তথ্য কীভাবে দিতে হবে, এর নমুনা ফরম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি হলে নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, ব্যাংক শাখার নাম, কবে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় এসেছে—এসব তথ্য দিতে হবে।