বাসস প্রতিবেদন:
পরিবহনের চাপ বাড়লেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি পটুয়াখালী বাস টার্মিনালে। সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যায় পানি। এতে ভোগান্তিতে যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তবে শিগগিরই আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণের কথা জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, অভ্যন্তরীণ ৭টি রুটের ১৫০টি বাসসহ দেশের বিভিন্ন জেলার আরো দেড় শতাধিক বাসের একমাত্র স্ট্যান্ড জেলা বাস টার্মিনাল। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে পরিবহনগুলোতে। অথচ টার্মিনালটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টিতে জমে যায় পানি। গাড়ি ধোঁয়া পানিতেও সৃষ্টি হয় কাঁদা মাটি। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। তারা বলেন, কোনো যাত্রী ছাউনি নেই, ওয়াশরুমের ব্যবস্থা নেই। এতে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে।
পানিতে যন্ত্রপাতি ক্ষতি হলে পরিবহনেও বাড়ে কারিগরি ব্যয়। পরিবহন চালকরা বলেন, যাত্রীদের গাড়িতে উঠতে অসুবিধা হয় ময়লা পানির জন্য। পাশাপাশি কাদামাটির জন্য গাড়িও নোংরা হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির খন্দকার বলেন, পৌরসভাকে বারবার এ বিষয়ে জানানো হলেও তারা পুরোপুরি সংস্কার কাজ করছে না। ফলে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে টার্মিনালটি।
এদিকে নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণের কথা জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী অলক সমাদ্দার বলেন, আধুনিক বাস টার্মিনাল করার জন্য ৩৫ কোটি টাকার একটি ডিপিপি প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি অনুমোদন পেলে আধুনিক একটি বাস টার্মিনাল জনগণকে উপহার দিতে পারব।
২০০৩ সালে দুই একর জমির ওপর ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস টার্মিনালটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
