কিশোরগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য আইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী,বাজিতপুর ও হোসেনপুর উপজেলায় নিরাপদ খাদ্য আইন লঙ্ঘনের দায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। ২৬ জুলাই (শনিবার), সকালে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা। সংক্ষিপ্ত বিচারিক প্রক্রিয়ার (সামারি ট্রায়াল) মাধ্যমে আদালত বিভিন্ন অপরাধে এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেন। এতে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিস জানায়, জেলার কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকারহাজী ফুড প্রোডাক্টসকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও পচা মিষ্টি সংরক্ষণের অপরাধে ১ লাখ টাকা, একই এলাকার রূপালী বেকারীকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পরিদর্শনে অসহযোগিতা ও বিভিন্ন নিবন্ধন না থাকায় ১ লক্ষ টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদনের দায়ে বাজিতপুর উপজেলার বাজিতপুর বাজারে অবস্থিত হাবীব বেকারীকে ১ লক্ষ টাকা ও একই এলাকার অলিউল্লাহ স্টোরকে খাদ্যপণ্য এবং ডিজেল একত্রে সংরক্ষণ করার দায়ে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।

হোসেনপুর উপজেলার হোসেনপুর বাজারে অবস্থিত ময়নামতি রেস্টুরেন্টকে পরিদর্শনে অসহযোগিতা এবং ফ্রিজে বাসি গ্রিল সংরক্ষণের দায়ে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। একই এলাকার শাহী মহল রেস্তোরাঁকে ফ্রিজে বাসি মুরগীর মাংস সংরক্ষণে ও বিভিন্ন অপরাধে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড; কূলেশ্বরী মিষ্টান্ন ভান্ডারকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি উৎপাদন ও বিভিন্ন অপরাধে ০১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয় করা হয়।

এদিকে প্রায়শঃ হালিমপুর এলাকার শামীম বেকারীতে অভিযান পরিচালনাকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং অননুমোদিত খাবার রঙ ব্যবহারের দায়ে নিয়মিতব মামলার প্রক্রিয়াকরণ সহ এবং ভ্রাম্যমান আদালত দেখে বেকারীর মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এর প্রক্রিয়া চলছে। অভিযান চলাকালে বিভিন্ন বেকারিতে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।

আদালত পরিচালনা কালে প্রসিকিউটর হিসেবে সহযোগিতা প্রদান করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পাল,পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার ব্যাটালিয়নের চৌকস টিম। সাধারণ জনগণের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।