গত বুধবার সন্ধ্যায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডবলমুরিং থানায় দৈনিক আজকের পত্রিকার সাংবাদিক আবদুল কাইয়ুম ও দৈনিক যায় যায় দিনের সাংবাদিক সাহিদুল ইসলাম মাসুমের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেছে পুলিশ। একই দিন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪ এ প্রচারিত একটি সংবাদের প্রতিবাদে সিএমপির পক্ষ থেকে দেয়া অপ্রয়োজনীয়ভাবে কঠোর ভাষা প্রযোগের মাধ্যমে হুমকী প্রদান অনভিপ্রেত ও উদ্বেগজনক মনে করছে সিএমইউজে ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ।
২২ আগস্ট (শুক্রবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, নির্বাহিী সদস্য মুস্তফা নঈম ও গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, আমরা মনেকরি এসব ঘটনা মুক্ত ও অবাধ গণমাধ্যমের পরিবেশকে বিঘ্নিত করছে।
গণমাধ্যম, পুলিশ কিংবা অনান্য সংস্থাগুলো নিদির্ষ্ট আইন ও নীতিমালা দ্বারা পরিচালিত হয়। সুতারাং নিজ নিজ পেশার আইন ও নীতিমালা যথাযথভাবে প্রতিপালনের এবং অন্য সংস্থার আইন ও নীতিমালার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে সবার জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এরমধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের যেহেতু অনেকটা অনিরাপদ পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয়, তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দপ্তরগুলোর উচিত সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ ও ভয়হীন পরিবেশ সৃষ্টি করা।
গত বুধবার সংগঠিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সিএমইউজে নেতৃবৃন্দ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘটনা অবহিত করে এর প্রতিকারের দাবি জানান।এর প্রেক্ষিতে সিএমপি কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসার আশ্বাস দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনার আগ্রহের কথা জানান। কিন্তু দু:খজনক হচ্ছে, পতিত ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা এই ঘটনাকে পূজিঁ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সিএমপি’র বিবৃতির প্রতিবাদের আড়ালে ছাত্র-জনতার উপর চালানো গণহত্যার উস্কানীদাতা, হত্যা মামলার আসামী কথিত সাংবাদিক নামধারীদের নেতৃত্বে দলীয় শ্লোগান দিয়ে সমাবেশ হয়েছে, যা সরকার বিরোধী অপতৎপরতার অংশ কিনা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
মূলত, সাংবাদিকতার নামবপরিচয়ের আড়ালে এই চক্রটি পতিত সরকারের নেতাদের নির্দেশে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার সূগভীর চক্রান্তে লিপ্ত আছে। আমরা মনেকরি পতিত ফ্যাসিস্টের সহযোগীদের আইনের আওতায় না আনার কারণে সিএমপির বিবৃতিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে পতিত ফ্যাসিবাদের পক্ষে নতুন করে বয়ান তৈরীর দু:সাহস দেখাচ্ছে। অবিলম্বে এসব মামলার আসামী গণ-হত্যার উস্কানীদাতাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে বিগত জুলাই বিপ্লবের পক্ষে ভূমিকা পালনকারী দেশ প্রেমিক সাংবাদিকদেরকে এই সব চক্রান্তের বিষয়ে সজাগ থাকার আহবান জানাচ্ছি।