বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)তে দীর্ঘ ১৯ বছর পর শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণের জনপ্রিয় অুনষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’ আবারও শুরু হয়েছে। যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে “নতুন কুড়ি”প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ৫ অক্টোবর/২০২৫ ইং তারিখের ঐ প্রতিযোগীতায় “ইয়েস কার্ড” পায় বেনাপোল ঐতিহ্যবাহী মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অর্পিতা হালদার। সে আশীষ কুমার হালদার( রাহুল) ও মাতা মমতা সরকারের একমাত্র কণ্যা
“নতুন কুঁড়ি”-২০২৫ সাধারণ নিত্য প্রতিযোগীতায় সে “ইয়েস কার্ড” অর্জন করে। খুলনা -২ (যশোর,ঝিনাইদাহ, মাগুরা,ও নড়াইল) অঞ্চল থেকে সে প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়। তার ক্রমিক নাম্বার ৮২৩ এবং রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ১১৩৯৭০।
এবারের প্রতিযোগিতার মূল পর্ব ছিল ,দেশাত্মবোধক গান, আধুনিক গান, নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, আবৃতি, লোক সংগীত, অভিনয়, কৌতুক, সাধারণ নিত্য, উচ্চাঙ্গ নিত্য, গল্প বলা, নতুন কুড়ির আসর ইত্যাদী।
স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি’র সভাপতি-মো.হবিবর রহমান হবি এবং শিক্ষক-শিক্ষীকাগণ অর্পিতা হালদারের সাফল্যে আনন্দিত এবং গর্বিত। তারা এক শুভেচ্ছা বার্তায় অর্পিতা হালদারের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
মাতা মমতা সরকার বলেন, আমার অনেক দিনের আশা ছিল। মেয়েটি নতুন কুড়ির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুক।ভগবান আমাদের সে মুখ উজ্জ্বল করেছেন।সামনের দিনগুলো সে যেন ভালো রেজাল্ট করেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় ১৯৭৬ সালে বিটিভিতে শুরু হয় রিয়েলিটি শো “নতুন কুঁড়ি”। এরপর ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের সম্প্রচার চলে। এক সময় এই অনুষ্ঠানের তুমুল জনপ্রিয়তা ছিল। গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি ও অন্যান্য শিল্পকলা প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তরুণ প্রতিভা খুঁজে বের করেছে এই অনুষ্ঠান।
প্রথমবার ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছিল নতুন কুঁড়ি। স্বাধীনতার পর বিটিভিতে পুনরায় চালু হয়ে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয় এই অনুষ্ঠানটি। দেশের নানা প্রান্ত থেকে তরুণ প্রতিভা গড়ে তোলার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিল নতুন কুঁড়ি। বছরের পর বছর এই অনুষ্ঠান দর্শকদের সামনে হাজির করেছে বহু প্রতিভাবান শিল্পী, যারা পরবর্তীতে হয়ে উঠেছেন সবার পরিচিত মুখ।
২০০৬ সালে বিটিভির আর্থিক সংকট, বেসরকারি চ্যানেলের উত্থান এবং গণমাধ্যম পরিস্থিতি পরিবর্তনের কারণে অনুষ্ঠানটির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। দেশব্যাপী অডিশন, সরাসরি সম্প্রচার ও বিচার প্রক্রিয়া টিকিয়ে রাখা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি পুনরায় শুরু করার পরিকল্পনার খবর প্রকাশিত হলেও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি।